Radha: জানুন শ্রীমতি রাধারানী কে এবং রাধা নামের মাহাত্ম্য!
শ্রীমতি রাধারানী সম্পর্কে বর্ণনা পাওয়া যায় শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ এবং স্কন্দ পুরাণে। পুরাণের উল্লেখ ছাড়াও অন্যান্য গ্রন্থে এবং সমাজে প্রচলিত বিশ্বাস ও কিংবদন্তির ভিত্তিতে রাধাকে নিয়ে অনেক ধরনের গল্প ও কাহিনী প্রকাশিত হয়েছে। হিন্দু এক্সপ্রেস পয়েন্টস্ এর এই আর্টিকেলে আমরা জানবো রাধারানী কে এবং রাধা নামের মাহাত্ম্য।
![]() |
শ্রীমতি রাধারানী কে এবং রাধা নামের মাহাত্ম্য! |
বৃন্দাবনেশ্বরী শ্রীমতি রাধা কে?
শ্রীমতি রাধারাণী হলেন সনাতন ধর্মের ভগবান কৃষ্ণের আধ্যাত্মিক শক্তির সবচেয়ে প্রিয় এবং সর্বোচ্চ রূপ। তাকে 'হ্লাদিনী শক্তি' বা ঈশ্বরের আনন্দময় শক্তি বলে মনে করা হয়। শ্রীমদ্ভাগবত এবং অন্যান্য বৈষ্ণব গ্রন্থ অনুসারে, রাধারাণী কৃষ্ণের প্রতি ভক্তি এবং সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণের প্রতীক। রাধারাণীর জন্মস্থান বৃন্দাবন, প্রেম, ভক্তি এবং
আধ্যাত্মিকতায় পূর্ণ একটি পবিত্র ভূমি। তাঁর প্রতি ভক্তি ও ভালবাসাকে কৃষ্ণের প্রেমের সর্বোচ্চ রূপ বলে মনে করা হয়। স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ রাধারাণীর প্রতি মুগ্ধ, এবং তাদের প্রেম সারা বিশ্বের ভক্তদের জন্য আধ্যাত্মিকতার চূড়ান্ত প্রতীক। রাধারানী শুধু কৃষ্ণের সখি নন, তিনি সকল ভক্তের আদর্শ; তাঁর প্রেম, নম্রতা ও ভগবানের প্রতি ভক্তিপূর্ণ জীবন আমাদের শুদ্ধ ভক্তির পথ দেখায়।
রাধা নামের মাহাত্ম্য:
রা - শব্দটা রমন শব্দ থেকে এসেছে। আর রমন শব্দের অর্থ হচ্ছে আনন্দ বর্ধনকারী। ধা - শব্দটা এসেছে ধারন থেকে। রাধা নামের অর্থ আনন্দকে ধারন করা। যিনি আনন্দকে ধারন করে থাকেন তিনিই রাধা।
এখন কথা হচ্ছে, এখানে আনন্দ টা কে? এখানে আনন্দ টা হল স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। শ্রীকৃষ্ণের আরেক নাম সচ্চিদানন্দ। সৎ, চিৎ, আনন্দ। আনন্দ স্বরূপ শ্রীকৃষ্ণকে যিনি মনের মধ্যে ধারন করে আছেন তিনিই "রাধা"।।
রাধাকে বৃষভানু নন্দিনী বলা হয় কেন? বষভানু কে?
বৃষ অর্থ বিষাদ কে বুঝানো হয়েছে। ভানু, শব্দের অর্থ ভঙ্গ কে বুঝানো হয়েছে। সুতরাং বৃষভানু শব্দের অর্থ যার মন থেকে বিষাদ ভঙ্গ হয়েছে। মানুষের মনের বিষাদ ভঙ্গ হওয়ার পরেই ত মনের মধ্যে আনন্দের সৃষ্টি হয়, আর সেই আনন্দটাকে মনে ধারন করা টাই হচ্ছে রাধা। অর্থাৎ বিষাদ ভঙ্গ হওয়ার পরে সে বিষাদের জায়গায় মনে যে আনন্দের অনুভব হয় সে আনন্দটাকে ধারন করাটাই হচ্ছে রাধা।
আরও পড়ুন:- ভগবান শ্রী কৃষ্ণের এমন ১০টি লীলা যার কারণে মানুষ তাঁকে ভগবান মনে করত!
![]() |
radha krishna images, ছবি: Pixabay |
শ্রীকৃষ্ণকে সচ্চিদানন্দ কেন বলা হয়?
তার মনে কোনো দুঃখ নেই, সুখ-দুঃখের কোনো অবকাশ নেই। সে সুখের এক রাজ্যে বিশ্রাম নেয়। তিনি কেবল আনন্দে উপভোগ করেন তাই, তাঁর নাম সচ্চিদানন্দ। সেই আনন্দই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় স্থান। যার মনে আনন্দকে ধারন (রাধা) করেছেন সেখানেই শ্রীকৃষ্ণ বিরাজ করেন। সে আনন্দই হচ্ছে পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরমাত্মার নিবাস স্থান।
১) অন্নময় কোষ:
২) প্রানময় কোষ:
৩) মনময় কোষ:
৪) বিজ্ঞানময় কোষ:
৫) আনন্দময় কোষ:
এই আনন্দময় কোষ গুলির মধ্যে শ্রীকৃষ্ণ পরমাত্মার অংশ স্বরূপ আত্মার অবস্থান। অর্থাৎ আমরা এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পাঠ করে যা বুঝলাম যেখানে আনন্দ সেখানে সশ্চিদানন্দ। যেখানে রাধা (আনন্দ ধারন) সেখানে শ্রীকৃষ্ণ। আর যেখানে রাধা নেই সেখানে শ্রীকৃষ্ণও নেই।
আরও পড়ুন:- গোপাল ও কুমোরের ইচ্ছে নিয়ে কাহিনী!
বিঃদ্রঃ- এখানে রাধা কোন নারী নয়, আনন্দের যেহেতু কোন রূপরেখা নাই। এখানে মানুষকে সহজে বুঝানোর জন্য নারী রূপ দেওয়া হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ